২৪খবরবিডি:'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ মঙ্গলবার। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর হতে যাওয়া ছাত্রলীগের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আ.লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০ টায় সম্মেলন শুরু হবে।'
'এর মাধ্যমে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নতুন নেতৃত্ব পাবে দেশের অন্যতম প্রাচীন ছাত্র সংগঠনটি। ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে নতুন কমিটি। এদিকে ছাত্রলীগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার সংগঠনের দুই শীর্ষ পদ— সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও সংগ্রহ করা হয়। ছাত্রলীগের দীর্ঘ প্রতিক্ষীত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনায় থাকবেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, 'আমরা সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের
আবেদনপত্র নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে।'
কাদের হাতে যাবে শীর্ষ নেতৃত্ব?
'ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা আ.লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কমিটিতে যারা 'ত্যাগী' এবং বিভিন্ন সময় 'শিক্ষার্থী এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন' তাদেরকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। এরমধ্যে যারা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এবং বিতর্কিত নয়, এমন প্রার্থীদের বেঁছে নেওয়া হবে। সম্মেলনে বয়সের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম উচ্চারিত হয়েছে। জানা গেছে, এবার চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে নেতৃত্ব পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, শিক্ষা ও
'আজ ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন'
পাঠচক্র সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, সহ-সম্পাদক দিদারুল আলম। বরিশাল অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, গণশিক্ষা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সোলাইমান ইসলাম মুন্না। ফরিদপুর থেকে কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মুহাম্মদ এবং আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, উপ-দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব। খুলনা থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন, উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আহসান হাবিব।'
ছাত্রলীগের সম্মেলনের কারণে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক-
'ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকাসমূহে রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেয়া হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানিয়েছে, যানজট এড়াতে রাজধানীর কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাবি মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাবি ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং এলাকায় সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক ডাইভারশন চলবে। সমাবেশ স্থলের আশেপাশের অঞ্চলে চলাচলের জন্য নগরবাসীকে এসব রাস্তা এড়িয়ে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি 'ভারমুক্ত' হন তারা। আগামীকাল সম্মেলনের মাধ্যমে বিদায় নেবে এই কমিটি।'